শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় নদমুলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়ানে নদমুলা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ৫ মাস পর আবারো মাদ্রাসায় চাকরিতে যোগদানের চেষ্টা করছেন এক কর্মচারী। এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তারের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী ভাণ্ডারিয়ার নদমূলা গ্রামের মো. আনছার হাওলাদার এর ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়, নদমুলা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (নিরাপত্তা কর্মী) মো. সাব্বির হাওলাদার চলতি বছরের মার্চ মাসে ওই মাদ্রাসার দশম শ্রেনির অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপর গত পাঁচ মাস ধরে বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিবাহ বহির্ভূতভাবে পলাতক থাকেন। যাহা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ৬ নং আইন) এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) এর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকুরি বিধিমালা-২০১২ অনুযায়ী আইনত অপরাধ । সম্প্রতি তিনি আবারো মাদ্রাসায় যোগদানের চেষ্টা করছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবক ও স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ ইব্রাহীম মুন্সী বলেন, মাদ্রাসা সুপারিনটেনডেন্ট অভিযুক্ত কর্মচারীর সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করার কারণে তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ।
তবে মাদ্রাসা সুপারিনটেনডেন্ট এ.কে. এম শাহজাহান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহানা আক্তার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।